আজ জানলার কাছে ডেকে গেছে
এক পাখির মতন সকাল
যেন রাখালিয়া বাঁশি
এই শহুরে গলার ফাঁসি
ছিঁড়ে দেখাবে এ দুনিয়া কার।
বলে সুখে আছো যারা সুখে থাকো
এ-সুখ সইবে না
দুখে আছো যারা বেঁচে থাকো
এ-দুখ রইবে না
বন্ধু এ-দুখ রইবে না।
আমি ভিটেমাটি ছেড়ে এসেছি মহান টাকাপয়সার দেশে
এই দুনিয়া সর্বনেশে
এরা সাগর ডিঙ্গিয়ে বোমা ফেলে আসে বীরপুরুষের বেশে
মরে কখনো-বাঁচেনি-যারা
আহা তাদের খিদের ইতিহাস এক বিশ্রী অন্ধকারা।
আজ সকালকে ডেকে বলি-গাও
রবি-নজরুলগীতি
তাতে আমার ভীষণ প্রীতি
দ্যাখো সুরুচির পরিমিতি।
আমি দেশ ভেঙে ভেঙে দুখান করেছি হিন্দু-মুসলমানে
মুখের ভাষায় দেয়াল উঠেছে
এই জল ওই পানি
আমি সবই মানি সবই মানি
শুধু মানি না যখন রহিম পরাণ ভায়েরা মুক্তি চায়
তারা দু’বেলাই খেতে চায়
আহা পাকস্থলিতে ইসলাম নেই নেইকো হিন্দুয়ানি
তাতে যাহা জল তাহা পানি।
পাখির মতন সকালটা আজ বড় দোটানায় ফেলেছে
বুকের ভেতর যত কথা ছিল তারা ব্যকরণ ভুলেছে।
ষত্ব ণত্ব বিধিতে সিদ্ধ আমি শিক্ষিত বাঙ্গালি
আজ দয়ার দোয়ার কাঙ্গালি
যেন বাঁশি শুনে খালি ভুলে যাই
আমি অন্যের ক্রীতদাস
আমি বারোমাস তেরমাস
খাটি মরণাস্ত্রের লোভে
ভূখা জনতার বিক্ষোভে
এই হৃদয় কাঁপে না দোলে না
আহা নাচে শুধু রায়বেশে
এই সব পেয়েছির দেশে।………